আপনার ফেসবুক পেজে সেল বাড়াতে লক্ষ্য রাখতে হবে যে ২৩টি বিষয়

বৃদ্ধি করতেফেসবুক পেজে সেল বাড়ানোর ২৩ টি কৌশল

আপনার ফেসবুক পেজে সেল বাড়াতে লক্ষ্য রাখতে হবে যে ২৩টি বিষয়

ফেসবুক পেজে সেল বাড়াতে যে ২৩টি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে 

আপনার ফেসবুক পেজটিকে কিভাবে আকর্ষণীয় ভাবে সাজাবেন এবং ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে সেল ফেসবুক পেজে সেল করাতে পারেন আজকের ব্লগে আমরা এ বিষযয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনার একটি পেজ একটি শো-রুম কিংবা দোকানের মত। সুতরাং শো-রুমটি বা দোকানটি যার যত গোছানো, কাস্টমার সেখানে তত বেশি সময় অবস্থান করবে এবং কেনাকাটায় উৎসাহিত হবে।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে বর্তমানে ২৫০ কোটিরও বেশী মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ১৫ কোটিরও বেশি বিজনেস এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সম্প্রসারিত হচ্ছে। তাই ফেসবুক পেজকে আকর্ষণীয়ভাবে সাজাতে যে বিষয়গুলো অবশ্যই করা প্রয়োজন তার কিছু দিক আলোকপাত করছি।

১। লোগো :

আপনার ফেসবুক পেজের জন্য একটি চমৎকার লোগো প্রয়োজন। একটি আকর্ষণীয় লোগো একজন ভিজিটরকে আকৃষ্ট করে । আমাদের সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে “আগে দর্শনধারী তারপর গুণবিচারী”।

২। কভার ডিজাইন :

একটি পেজকে কতটুকু আকর্ষণীয় লাগছে তা নির্ভর করে কভার এর ছবি অথবা ডিজাইনের উপর। অবশ্যই কভার তৈরির ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে আপনি পেজটিকে কোন কাজে ব্যবহার করছেন। একজন ভিজিটর যেন কভার দেখেই বুঝতে পারে। এতে করে আপনার প্রতি তার একটি পজেটিভ ধারণা জন্ম নেবে।

৩। পেজ ডিস্ক্রিপশন :

একটি পেজ যখন তৈরি করবেন তখন খুব নির্ভুলভাবে ইনফর্মেশন যুক্ত করতে হবে। পেজ এ ডিস্ক্রিপশন খুব অল্প কথায় সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। যা হবে সহজ এবং সবার বোধগম্য। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার পেইজের উদ্দেশ্য টাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য।

৪। পেজ ক্যাটাগরি:

আমরা সবাই জানি ফেসবুকে কোটির উপরে পেজ আছে। একেক ধরনের পেজ একেক রকম হয়ে থাকে। আপনার পেজটি কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছে এটির ক্যাটাগরি আপনাকে অবশ্যই সিলেক্ট করে দিতে হবে। যাতে ফেসবুক বুঝতে পারে আপনার পেজটি কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছে।

৫। ফোন নাম্বার:

একজন ভিজিটর যখন আপনার পেজটি ভিজিট করবে তখন যেন খুব সহজেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে এবং আপনাকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় এজন্য অবশ্যই নির্ভুলভাবে আপনার ফোন নাম্বার টি ব্যাবহার করতে হবে। এটি আপনার সম্পর্কে একটি পজেটিভ ধারণা তৈরি করে।

৬। ইমেইল সংযোজনঃ

আপনার ফেসবুকে আপনার ইমেইল আইডি কে অবশ্যই সংযোজন করতে হবে। যাতে করে সব উপায়ে আপনার সাথে যোগাযোগ হয় সহজ থেকে সহজতর ।

৭। প্রতিষ্ঠান এর লোকেশনঃ

আপনার প্রতিষ্ঠান এর লোকেশন,অথবা আপনি কোন জায়গা থেকে এই পেজটি চালাচ্ছেন তা অবশ্যই এড্রেসে উল্লেখ করে দিতে হবে। যাতে একজন ভিজিটর আপনার অফিসে এসে অথবা আপনার অবস্থানের উপর আপনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। এটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বিশাল ভূমিকা রাখে। তাই অবশ্যই আপনার এড্রেসটি আপনার ফেসবুক পেজে উল্লেখ রাখতে হবে।

৮। ওয়েবসাইট সংযোজনঃ

আপনি কতটা আধুনিক অনেকটা বোঝা যায় আপনার ওয়েবসাইট আছে কিনা। যার মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সকল তথ্য নির্ভুল এবং ধারাবাহিক ভাবে সাজানো থাকে ওয়েবসাইটে। একজন ভিজিটর আপনার সম্পর্কে এবং আপনার সেবা সম্পর্কে খুব সহজে জানতে এবং গ্রহণ করতে পারে একটি চমৎকার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট করা থাকে এর লিংক অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আপনার সম্পর্কে একটি পজিটিভ চিন্তা তৈরি করার জন্য। আর যদি আপনার ওয়েবসাইট না থাকে ফেসবুক পেজে ওয়েবসাইটের লিংক না দিলেও চলে তবে এটি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান সময়ে।

৯। অটো চ্যাট সিস্টেমঃ

ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমরা অনেকেই ম্যাসেঞ্জার ইউজ করে ভিজিটরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করি। এটি অনেক সময় সাপেক্ষ এবং বিরক্তিকর ব্যাপার।অনেক সময় অনেক ভিজিটরের এসএমএসের রিপ­াই করতে অনেক দেরি হয়। সে ক্ষেত্রে অনেক ভিজিটর সঠিক সময়ে আপনার সম্পর্কে তথ্য পেতে ভোগান্তিতে পড়ে। এই সমস্যা দূর করা অতীব প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে আপনার ফেসবুক পেজে অটো চ্যাট সিস্টেম সংযোজন করা সময়ের দাবি। যাতে করে অটোমেটিকলি ফেসবুক আপনার হয়ে আপনার ভিজিটর এর সাথে তার কাক্সিখত তথ্য প্রদান করবে। যা আগে থেকেই আপনি নিজে নির্ধারণ করে দিবেন। এক্ষেত্রে একজন ভিজিটর সব সময় আপনার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে এবং আপনাকে বেগ পেতে হবে না। উল্লেখ্য, এ ধরণের সার্ভিস এর জন্য কাউকেই কোন অর্থ খরচ করতে হয় না।

১০। নিয়মিত পোস্ট করাঃ

আমরা অনেকেই ফেসবুক পেজ চালাই। কিন্তু আমার নিয়মিত পোস্ট করি না । সে ক্ষেত্রে খুব একটা খারাপ প্রভাব পড়ে আপনার উপর। তাই অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে। শুধু পোস্ট করলেই হবেনা পোস্ট টা যেন খুব সুন্দর হয় এটি মাথায় রাখতে হবে। পোস্ট সুন্দর করার ক্ষেত্রে যে জিনিস গুলো মাথায় রাখবেন।
প্রথমতঃ ভালো রেজুলেশনের ছবি নির্ধারণ করা । যাতে করে দেখতে সুন্দর লাগে।
দ্বিতীয়তঃ ছবির উপরে ক্যাপশন করে লিখে দিতে হবে। আপনি ছবির মাধ্যমে কি বোঝাতে চাইলেন। আপনি যদি প্রমোশনে জান তাহলে অবশ্যই এর দাম এবং সকল তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
অনেকেই ব্যস্ত থাকার কারণে হয়তো নিয়মিত পোস্ট প্রদান করে ভিজিটরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয়না। সে ক্ষেত্রে আমরা শিডিউল পোস্ট সিস্টেমটি ব্যবহার করতে পারি। আপনি অনেক আগেই পোস্ট নির্ধারণ করে রেখে দেবেন ঠিক নির্ধারিত সময়ে আপনার পেজে পোস্টটি আপলোড হয়ে যাবে। এতে করে আপনাকে সবসময় বেগ পেতে হবে না।

১১। পেজ প্রমোটঃ

আমরা অনেকেই কিভাবে আমাদের পেজটি মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া যায় সে বিষয়গুলো মাথায় রাখি না। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করতে হবে আমার পেজটি যেন অধিক মানুষের কাছে পৌঁছায়। সে ক্ষেত্রে দুইটি জিনিস মাথায় রাখবেন-

প্রথমত: লিংক শেয়ার করা । আপনার পেজটি বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করতে হবে। যাতে করে অনেক ভিজিটরের নজরে আসে। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনার পেজকে নিজ দায়িত্বে লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে প্রমোট করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ মডারেটর নিয়োগ। আপনাকে কিছু মডারেটর নিয়োগ দিতে হবে । যাতে করে আপনার পেজের পোস্টগুলোকে তারা তাদের পারসোনাল ফেসবুকে শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পেজে প্রমোশন বাড়িয়ে দিতে। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না অনেক ভাবে পেজ প্রমোট করা যায়।

১২। পেজ স্টোরি:

এখানে আপনি চেষ্টা করবেন একটু বিস্তারিত আকারে আপনার পেজের উদ্দেশ্য টাকে তুলে ধরার জন্য। সেখানে আপনি রাখতে পারেন আপনার সেবা সম্পর্কিত তথ্য। হতে পারে আপনি কি চাচ্ছেন বা আপনার উদ্দেশ্য কি এ-সম্পর্কিত একটু বিস্তারিত তথ্য। ফেসবুকের কাছে আপনার পেজ টা কে ভারী করার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১৩। পিন পোস্ট:

পিন পোস্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। পিন পোস্ট করলে আপনি আপনার ফেসবুকে একটি নির্দিষ্ট পোস্টকে সব সময় সবার উপরে রাখতে পারবেন। আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসায়ী হন তাহলে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যেমন আপনার কোন স্পেশাল অফার, অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো পোস্ট, কিংবা নতুন কালেকশন এর পোস্ট গুলো সবসময়ের পেজের উপরে অটোমেটিক থাকবে। যা আপনার ভিজিটরের নজর কাড়বে। এককথায় দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম পিন পোস্ট।

১৪। কল টু একশন বাটন:

আপনার পেজে প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর আনার জন্য, অথবা লিড কালেকশন করার জন্য আপনাকে কল টু একশন বাটন অ্যাড করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার ক্ষেত্রে এর বিশাল ভূমিকা।এতে করে আপনি অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন এবং আপনার প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন।

১৫। লিড কালেকশন:

একশন বাটন ব্যবহার করে গুগোল ফর্ম অথবা একজন ভিজিটর এর সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে আপনাকে লিড কালেকশন প্রতিনিয়ত করতে হবে। এতে করে আপনার সঙ্গে ভিজিটরের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার মাধ্যমে অথবা যোগাযোগ করার মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট গুলো চমৎকার ভাবে প্রচার এবং প্রসার করতে পারবেন।

১৬। শপ ট্যাব:

আপনারা যারা ই-কমার্স এর সাথে যুক্ত আছেন। অথবা আপনার পেজটিকে আপনার মার্কেটিং হিসেবে ব্যবহার করছেন তাদের জন্য শপ ট্যাব এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করবে। শপে আপনি আপনার প্রোডাক্টের ছবি, ভিডিও, আপনার প্রোডাক্ট এর মূল্য, নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট এর বর্ণনা যুক্ত করতে পারবেন। যা আপনার পেজেটিকে একটি দোকানে রূপান্তিত করবে। শপ ট্যাবের মাধ্যমে আপনি আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট কে চমৎকারভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। যাতে করে একজন ভিজিটর এর কেনাকাটা সহজ থেকে সহজতর হয়।

১৭। লিংক করা:

আপনার পেজটাকে অবশ্যই আপনার পার্সোনাল ফেসবুক আইডি অথবা কোন গ্রুপ কিংবা ইভেন্টের সঙ্গে লিংক করে রাখতে হবে।যাতে একজন ভিজিটর খুব সহজে আপনার পোষ্টটি সম্পর্কে জানতে পারে এবং ঘুরে আসতে পারে।

১৮। ভিডিও শেয়ার:

আমাদের অনেকের মনেই ইদানিং প্রশ্ন জাগে আগের মত ফেসবুক বুস্ট থেকে কেন রেসপন্স পাইনা । আসল ব্যাপারটা হচ্ছে ফেসবুক এখন প্রায়োরিটি দিচ্ছে ভিডিও কে। স্থির কোন ছবি থেকে তারা বেশি পছন্দ করে ভিডিও। তাই আপনার ফেসবুক পেজে নিয়মিত ভিডিও শেয়ারিং করতে হবে। এটি বর্তমান সময়ে খুব ভালো রেসপন্স হচ্ছে।

১৯। পেজ অ্যাড্রেস:

ফেসবুকে যে অ্যাড্রেস ধরে সার্চ করলে নির্দিষ্টভাবে আপনার ঐ পেজ কে পাওয়া যাবে সেই অ্যাড্রেসটি আমরা অনেকেই সেট করে রাখি না । পেজের একটা নির্দিষ্ট অ্যাডেস নিয়ে আসা এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গুগলে সার্চ করার ক্ষেত্রেও এটি কাজে লাগবে । কিভাবে অ্যাড্রেসটি সেট করবেন সেটি দেখতে আমাদের ভিডিওটি দেখুন।

২০। ইন্সাইট অপশন চালু রাখা:

এটি আপনার ফেসবুকের রিপোর্টিংয়ের কাজে লাগে। আপনার ফেসবুকে কতজন লোক ভিজিট করলো, কতজন লোক কেনাকাটা করলো, লাইক দিল, পোস্ট রিচ করলো, কতজন ভিউ করল এককথায় সকল তথ্য আপনি সেখান থেকে দেখতে পারবেন। যা আপনার মার্কেটিং করতে বিশাল ভূমিকা রাখবে।

২১। অলওয়েজ ওপেন অপশন:

আপনার পেজটিতে অলওয়েজ ওপেন অপশন চালু করে রাখতে হবে। যাতে করে যেকোন সময় আপনার কাস্টমার আপনার পেজে গেলে আপনার পেজকে ওপেন হিসেবে দেখতে পায়।

২২। রিভিউ ট্যাব:

আপনাকে অবশ্যই রিভিউ ট্যাব চালু করতে হবে। যাতে করে আপনার ক্রেতা অথবা ভিজিটর আপনার সম্পর্কে মতামত দিতে পারে। এতে করে অন্যান্য ভিজিটররা উৎসাহিত হবে আপনার প্রোডাক্ট কেনা অথবা দেখার জন্য ‌। এটি খুব বড় ভূমিকা রাখে আপনার ব্র্যান্ডিং তৈরি করার ক্ষেত্রে।

২৩। কোম্পানি ওভারভিউ:

আপনার কোম্পানি অথবা আপনার দোকান শোরুম এর সম্পর্কে সুন্দর এবং গোছানোভাবে উপস্থাপন করবেন । যা আপনার সম্পর্কে পজিটিভ ধারণা তৈরি হয়।

উপরে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি। তবুও এই আলোচনা থেকে যদি আপনার এতটুকু উপকার হয় তাহলেই আমাদের সার্থকতা। আমার এই ব্লগটি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন। আপনার কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাকে ইনবক্স করবেন অথবা ই-মেইলও করতে পারেন। বিশেষ প্রয়োজনে পরামর্শের জন্য আমার সাথে অথবা আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্টদের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারেন।

ফেসবুক পেজ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি ভিডিও লিংক দেওয়া হলো। ভিডিওটি মনোযোগ সহকারে দেখলে আপনি নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
আপনার ব্যবসায়িক সফলতা কামনা।
ফারা আই টি ফিউশন, মিরপুর, ঢাকা

Email: info@faraitltd.com

Hotline: +8801780504501 , +8801978015579

Related Posts